একদিনে ঢাকা ও তার আশেপাশের যেই স্থান গুলো ঘুরে আসতে পারেন তার একটা অসম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরছি ।
সোনারগাঁওঃ
ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূ্রত্বে রয়েছে বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাও । ব্রহ্মপুত্রের উভয় তীর ব্যাপী বিস্তৃত এই জনপদে ‘স্বর্ণভূষিত’ জাতি নামে চিহ্নিত এক আদিম জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ কর্তৃক ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বাংলার প্রথম স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের রাজধানী ছিল সোনারগাঁও, আর তখন থেকেই শুরু হয় সোনারগাঁয়ের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের। ঈসা খান মসনদ-ই-আলা প্রতিষ্ঠিত ভাটি রাজ্যের রাজধানী ছিল সোনারগাঁয়ে। ঊনিশ শতকে সুতিবস্ত্রের, প্রধানত বিলাতি থান কাপড়ের ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পানাম নগরের অভ্যুদয়ের ফলে সোনারগাঁও বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছুটা প্রাধান্য লাভ করে। পানাম নগরের বর্তমান ভগ্নপ্রায় দালানকোঠা হচ্ছে হিন্দু ব্যবসায়ীদের তৈরি আবাসিক ভবন। ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন উপনিবেশিক স্থাপত্য রীতিতে এগুলি নির্মিত।
চার পাশে সবুজ গাছপালা, নদী-নালা, খাল-বিল পরিবেষ্টিত পুরানো জমিদার বাড়ি আপনাকে সহজেই আকৃষ্ট করবে। সাথে রয়েছে সোনারগাঁও যাদুঘর । বাংলাদেশ লোক এবং কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি সোনারগাঁও যাদুঘর হিসেবে পরিচিত। গুলিস্তান থেকে সেতু পরিবহন, দোয়েল পরিবহন বা স্বদেশ পরিবহনে করে মোগড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড । অথবা সায়দাবাদ অথবা যাত্রাবাড়ী থেকে বাস,সি এন জি অথবা লেগুনা তে করে কাচপুর ব্রিজ পার হয়ে মোগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড । এখান থেকে রিকশা নিয়ে হাতের ডানে প্রায় ২ কি,মি গেলে ঈসা খাঁ এর বাড়ি । এখান থেকে হেটে অথবা রিক্সায় পানাম নগর ঘুরে আসতে পারবেন । পানাম নগরে দেখা যায় ৪০০ বছরের পুরানো মঠ বাড়ি। পানাম নগরের পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক পানাম পুল। ইতিহাস প্রসিদ্ধ সোনারগাঁও বা সুবর্ণগ্রাম আজ পানাম নগরীর ধ্বংসাবশেষ এবং সর্দার বাড়ীর পুরানো একটি অট্টালিকায় আবদ্ধ হয়ে ঐতিহাসিক স্মৃতি ধারণ করছে। এখানকার সুদৃশ্য বাড়িগুলো এখন ধ্বংসের মুখে।
সোনার গাঁও ঘুরতে যাবার সময় আপনি আরো কিছু স্থান ভ্রমণ লিস্টে যোগ করতে পারেন যেমনঃ
মেঘনা নদীর সুন্দর সুন্দর চর সমূহ ( নালার চর ,বাঙ্গির চর, নুনের টেক বা মায়া দ্বীপ ) । সোনার গাঁও থেকে বইদ্যার বাঁজার ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে এইসব চরে ঘুরে আসা যায় ।
এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন ঋষিপারা বাশের দোতলা স্কুল ।
বাংলার তাজমহল এবং পিরামিড
২০০৮ সালে আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত তাজমহলের ফটক সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। তাজমহল সংশ্লিষ্ট জায়গার পরিমাণ প্রায় ১৮ বিঘা। তাজমহলের মূল ভবনে স্বচ্ছ ও দামি পাথরে মোড়ানো। এর অভ্যন্তরে আহসানউল্লাহ্ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দ্’ুজনের সমাধির স্থান রক্ষিত আছে। চার কোণে চারটি বড় মিনার, মাঝখানে মূল ভবন, সম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে পানির ফোয়ারা, চারদিকে ফুলের বাগান, দুই পাশে দর্শনার্থীর বসার স্থান। এখানে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাজমনি ফিল্ম সিটি, রেস্তোরাঁ, উন্নতমানের খাবার-দাবারের পাশাপাশি, যারা গ্রুপে বা পিকনিকে আসতে চান তাদের জন্য ও ব্যবস্থা রয়েছে। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা ।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয় পৃথিবীর সপ্তার্শ্চযের অন্যতম মিসরের পিরামিডের আদলে গড়ে তোলা পিরামিড । আটটি পিরামিড ধারাবাহিকভাবে সাজানো রয়েছে। ভেতরে সংরক্ষিত মমিগুলোর তথ্য ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়েছে মিসর ও চীনের বিভিন্ন জাদুঘর থেকে। রয়েছে প্রাচীনকালের রাজা রানীদের পরিধেয় পোশাক-আশাক ও মণিমুক্তা, তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন তৈজসপত্র, অলঙ্কারাদি ও যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের নমুনা। পাশেই রয়েছে আফ্রিকান ভয়ঙ্কর জীবন্ত প্রাণী আইরল। করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্করও। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে । জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১৫০ টাকা।
সাদুল্লাপুর এবং বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি ,সাভার ঢাকা
সাদুল্লাপুরঃ
ঢাকার কাছে সাভার বিরুলিয়া ইউনিয়নে তুরাগ নদীর পাড়ে ছবির মত সুন্দর একটি গ্রাম সাদুল্লাপুর।নানা রংগের গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা গ্রামটিকেই একটি বাগান বলে মনে হয় । গোলাপ বাগান,গ্লাদিয়াস বাগান,জারভারা বাগান, রজনীগন্ধা বাগান, ক্যাকটাস বাগান ছাড়াও রয়েছে নানা সবজি বাগান । বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে আছে প্রাচীন বটগাছ । মনোমুগ্ধকর এই গ্রাম দেখতে প্রথমে আপনি সোজা চলে আসুন মিরপুর ১ ।মিরপুর ১নম্বর মাজারের সামন থেকে রিকশায় সোজা দিয়াবাড়ি নৌকা ঘাট । এরপর নৌকা দিয়ে সাদুল্লাপুর ।এছাড়া বাই রোডেও সদুল্লাপুর যেতে পারবেন । সেক্ষেত্রে বিরুলিয়া ব্রিজ হয়ে যাওয়াই ভালো ।
বিরুলিয়া জমিদারবাড়িঃ
তুরাগ নদীর পাড়ে প্রাচীন জনপদ এবং ছোট একটি গ্রাম বিরুলিয়া। জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়ি, সাথে প্রায় ১১টি প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিরুলিয়া বিখ্যাত । তাছাড়া এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। গ্রামের ঠিক শেষ মাথায় নদীর তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়িটি ।
একসময় জমিদার আর কলকাতার আদি ঢাকেশ্বরী বস্রালয়ের পূর্বপুরুষগণ এই গ্রামে বসবাস করত।তাদের লোগো তে বিরুলিয়া গ্রাম সংলগ্ন বটগাছের ছবিটি আজো রয়েছে । স্বাধীনতার পর যেকোন কারনেই হোক তাদের অনেকেই আর ফিরে আসেন নি । আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক কারুকাজ আজ ধ্বংসের পথে ।এখন একেক বাড়িতে একেক জন বসবাস করছেন। কারো উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া কেউবা দখল করে আছেন ।
মিরপুর-১ থেকে আলিফ বা মোহনা বাসে উঠে যেতে পারেন বিরুলিয়া ব্রিজ অথবা বেড়িবাঁধ থেকে বিরুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত বাস/রিক্সা/সিএনঞ্জি তে গিয়ে কিছুদূর হেটে গেলেই বিরুলিয়া জমিদারবাড়ি ।
অনুমতি নিয়ে ভেতরটাও ঘুরে দেখতে পারেন । জমিদার বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে । নিরাশ করেন না তবে উনারা যেহেতু পরিবার সহ বসবাস করছেন সেহেতু বেশিক্ষণ ওইখানে থাকলে একটু বিরক্ত হতেই পারে । আর খাবার অবশ্যই সাথে নিয়ে যাবেন । সেখানে আমি ভাল খাবার হোটেল দেখিনি ।
জিন্দা পার্ক
রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের জিন্দা গ্রামে ১৫০ একর এলাকার উপর গড়ে তোলা হয়েছে জিন্দা নামের এই পার্কটি। একদিনের ঘুরাঘুরির জন্য হতে পারে একটা আদর্শ প্লেস । জিন্দা পার্কে ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশি গাছ , ৫টি জলাধার এবং অসংখ্য পাখি আছে । নৌ বিহারের জন্য রয়েছে ৮টি সুসজ্জিত নৌকা । এন্ট্রি ফি ১০০ টাকা, বাচ্চাদের জন্য ৫০ টাকা । পার্কের ভিতরে ২২০- ২৭০ টাকার খাবার প্যাকেজ টা খারাপ না । পার্কটি সপ্তাহের প্রতিদিনই খোলা থাকে ।
কুড়িল বিশ্বরোড/খিলখেত থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সি,এন,জি যায় । জনপ্রতি ভাড়া ৬০টাকা । এর পর কাঞ্চন ব্রিজ থেকে জিন্দা পার্ক পর্যন্ত লেগুনা যায় , ভাড়া ১০ টাকা । এছাড়া কাচপুর ব্রিজ পাড় হয়ে ভুলতা থেকে মহানগর বাইপাস হয়েও জিন্দা পার্ক যাওয়া যায় ।
Phone 01716-260908
এগারসিন্ধুঃ
এগারসিন্ধুর দুর্গ ছিল মধ্যযুগের বাংলার একটি দুর্গ। দুর্গটি তৎকালীন সময়ে বানার, শীতলক্ষা, আড়িয়াল খাঁ, গিয়র সুন্দা ইত্যাদির সংযোগস্থলে অবস্থিত ছিল। এ থেকে এগারসিন্ধুর নামটি উদ্ভব হয়। বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর অবস্থিত। বেবুধ নামক এক কোচ উপজাতি প্রধান ষোড়শ শতাব্দীতে এই দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। ঈশা খাঁ বেবুধ রাজার কাছ থেকে দুর্গটি দখল করে নেন এবং একে শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেন। বারো ভুঁইয়াদের নেতা ঈসা খান মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই দুর্গ ব্যবহার করেছিলেন। ১৮৯৭ এর ভুমিকম্পে দুর্গটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। তবে দুর্গের ভেতরে উঁচু একটি ঢিবি পাওয়া যায়, যেখান থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কামান দাগানো হতো। এগারসিন্দুরে রয়েছে – এগারসিন্দুর দুর্গ, বেবুথ রাজার দিঘি, ১৬৪২ সালে নির্মিত পোড়ামাটির অলংকরনে সজ্জিত সাদী মসজিদ, ১৬০০ সালে নির্মিত শাহ মাহমুদ মসজিদ।
ঢাকার মহাখালী বাস টারমিনাল থেকে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা অথবা অন্য বাসে উঠে এগারো সিন্ধু নেমে ঘুরে আসতে পারেন ঈশা খাঁ এর এগারো সিঁন্ধু ।এইপ্লেস গুলাতে ট্যুরিস্ট কম যাওয়ার কারনেই হোক অথবা গ্রামবাসীর সচেতনতার কারনেই হোক কোন ময়লা / চিপসের প্যাকেট / পানির খালি বোতল দেখিনাই । ভাল লাগছে বিয়টা ।ফেরার পথে গাজীপুরের টোক-বাজারে নেমে তোতামিয়ার হোটেলে খেয়ে আসতে পারেন ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কঃ
সুন্দর এবং মজা এ ২টার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম । যারা ডিসকভারি চ্যানেল গুলাতে দেখা মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, চিলি , কানাডা ,কেনিয়া এবং আফ্রিকান সাফারি পার্কের সাথে তুলনা করতে চান তাদের নিরাশ হতে হবে প্রথমেই বলে নিচ্ছি । তবে হ্যা একেক জিনিসের একেক রকম টেস্ট।তাই সব মিলিয়ে একদিনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কভ্রমন অবশ্যই একটা ভাল আইডিয়া/প্লান হতে পারে ।
প্রথমে শুরু করতে পারেন “কোর সাফারি” দিয়ে , যেখানে বাস/পিকাপ ভ্যানে করে ১৫/২০ মিনিট সময়ে আপনাকে বাঘ , সিংহ ,ভালুক এবং জিরাফ দেখিয়ে নিয়ে আসবার ব্যাবস্থা রয়েছে ।এই পার্কে বাঘ ,সিংহ , ভালুক ,জেব্রা এবং জিরাফ ইত্যাদি বাসের জানালা দিয়ে ডান-বাম করে তারাহুরা করে দেখতে দেখতে জার্নি শেষ হয়ে যাবে । এর পর ওয়ার্ল্ড-লাইফ ন্যাচার > শুরু হবে ম্যাকাউ ল্যান্ড দিয়ে । দামি দামি সব ম্যাকাউ ,কাকাতুয়া , টিয়া’র ডাকাডাকি তে মুখরিত বিশাল একখাঁচা । এই খাঁচায় আপনি প্রবেশ করে পাখি গুলোকে একদম কাছ থেকে দেখতে ও ছবি নিতে পারেন । রয়েছে একুরিয়াম এবং প্রজাপতি । হাতির পিঠে চাপা , বোটিং সবই মজার । বোটিং প্লেসে রয়েছে বিশাল বিশাল সব রাজ হাঁস । আপনার একদম পাশ দিয়ে সাতরে চলে যাবে আপন মনে । ময়ূর সংগ্রহশালা আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ময়ূরশালা । এখানে ১৫ মিনিটে আমি তিনটি ময়ূরের নাচ দেখতে পেয়েছি 🙂 এছাড়াও আছে ময়ূরের ন্যায় দেখতে হরেক রকম পাখি ।আর পার্কটি দেখে আমার জুরাসিক পার্ক মুভিটার কথা মনে হয়েছে । নিচে হরেক রকম ময়ূর আর উপর দিয়ে একটা রাস্তার মত তৈরি করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা উপর থেকে এই সুন্দরজ উপভোগ করতে পারেন । যদি একই ভাবে বাঘ ,সিংহ রাখত আর উপর দিয়ে আমারা হেটে চলে যেতে পারতাম তাহলে বিষয়টা আরও এডভেঞ্চার হত । এর পর কিছুটা চিরিয়াখানার মত করে বানর ,উঠপাখি, এলিগেটর শ্রেণীর প্রানি রাখা । এইসব দেখতে দেখতে আপনি কখন যে বড় এক রাউন্ড দিয়ে ফেলেছেন তা বুঝতেও পারবেন না । শেষে করতে পারেন রঙ্গিন সব কার্প মাছকে খাদ্য খাইয়ে । আপনার একদম হাতের কাছথেকে ঝাকে ঝাকে মাছ খাবার খাবে । এইসব একনজর চোখে দেখতে , উপভোগ করতে দলবলে চলে যান সাফারি পার্ক ভ্রমণে।
সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার ।
মাওয়া ঘাটঃ
মাওয়া ঘাটে ইলিশ দিয়ে দুপুরের খাবার এরপর ১০টাকা বাস ভাড়া দিয়ে লৌহজং থানার ঘোড়াদৌর বাজার নৌঘাট থেকে সোজা পদমা রিসোর্ট । ১ দিনের জন্য ভাল একটা ট্যুর প্লান । উল্লেখ্য পদ্মা রিসোর্টে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২৩০০/- টাকা চার্জ এবং বিকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৫০০/- টাকা চার্জ দিতে হয় আর ২৪ ঘন্টার জন্য হলে ৩৫০০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য ।আর যদি ২/৩ ঘণ্টা শুধু ঘুরাসঘুরি করতে চান তাহলে ৫০টাকা দিয়ে এন্ট্রি হলেই হবে অন্য ফি দিতে হবে না । সাথে নৌপারাপার ফ্রি । ভিতরে ক্যাফে আছে । চা ,কফি বিস্কিট সব আছে । ডিনার বা লাঞ্চের জন্য ৪০০ টাকার মধ্যে প্যাকজে আছে- ইলিশ সহ ৭টা আইটেম থাকে ।
মানিকগঞ্জঃ
ঢাকা থেকে সকাল ৮টায় বের হয়ে গেলে সারাদিন মানিকগঞ্জ ঘুরে রাত ৯টায় ঠিক ফেরা যায় ।
যে স্থানগুলি দেখবেনঃ
বালিয়াটি জমিদার বাড়িঃ
বালিয়াটি প্রাসাদ বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম প্রাসাদ। একে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ বলেও ডাকা হয়। গোবিন্দ রাম সাহা বালিয়াটি জমিদার পরিবারের গোড়াপত্তন করেন। ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি লবণের বণিক ছিলেন। মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ১৬,৫৫৪ বর্গমিটার জমির উপর ছড়িয়ে আছে। প্রাসাদটির দক্ষিণ দিকে প্রবেশদ্বার হিসেবে চারটি সিংহদুয়ার রয়েছে এবং উত্তরে বিশাল আকৃতির পুকুর রয়েছে। দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ সম্মুখভাগের ইমারতগুলোতে কোরিনথিয় সত্মম্ভের সারি রয়েছে। এছাড়াও স্থাপনাগুলোতে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য লক্ষ করা যায়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর। এই প্রাসাদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ও পরিচালিত।
প্রতি রবিবার পূর্ণ দিবস এবং সোমবার অর্ধ দিবস বন্ধ ছাড়াও প্রাসাদটি যে কোনও সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে ।
ঢাকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামি যে সব বাস সাটুরিয়া হয়ে যায় তাঁর যে কোন একটায় উঠতে হবে। সাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট নেমে ইজি বাইক বা সি এন জি দিয়ে চলে যান জমিদার বাড়ি।
পাটুরিয়া জমিদার বাড়িনাহার গার্ডেনঃ
তেওতা জমিদার বাড়িঃ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় তেওতা জমিদার বাড়ি অবস্থিত । লোকমুখে প্রচলিত, এই জমিদার বাড়ি প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো। সপ্তদশ শতকের শুরুতে পঞ্চানন সেন এই জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন ।
তেওতা জমিদার বাড়ি যেতে হলে আপনাকে ঢাকা থেকে আরিচাগামি বাসে উঠে শিবালয় নেমে যেতে হবে । শিবালয় থেকে রিক্সা যোগে যেতে পারবেন ।আর মানিকগঞ্জ থেকে তেওতা জমিদারবাড়ি যেতে চাইলে প্রথমে শিবালয় আসতে হবে বাসে করে । মানিক গঞ্জ থেকে শিবালয় বাস আছে ।
ব্রাহ্মণ বাড়িয়াঃ
ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস ও ট্রেন এ যাওয়া যায়। খুব সকালে রওনা দিলে আপনি কমলাপুর থেকে ট্রেন পাবেন- পারাবত সম্ভবত সকাল ৬:৩০ এ, প্রভাতী সকাল ৭:৪০ এ ছাড়ে, ভাড়া শোভন চেয়ার এ ১৩৫ টাকা হতে পারে। এছাড়া কমলাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সোহাগ, তিশা, রয়েল সহ আরো কিছু বাস পাবেন, ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০টাকা। ট্রেন কিংবা বাস যেভাবেই যেতে চান সকাল ৭টার ভিতর রওনা দিতে পারলে ২ থেকে ২:৩০ ঘন্টার মধ্যে আপনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছে যাবেন।
একদিনের রোড প্ল্যান- সকাল বেলায় বাস বা ট্রেন থেকে নেমে সকালের নাস্তা সেরে সোজা চলে যেতে পারেন মেড্ডা । সেখান থেকে সিএনজি করে সরাইল চলে যা্বেন। সরাইলে আরিফাইল মসজিদ দেখে আবার সিএনজি করে চলে যাবেন নাসিরনগর। যাওয়ার পথে ধরন্তি(এখান থেকে হাওরের বুক চিড়ে রাস্তাটি নাসির নগর চলে গেছে।) পার হয়ে যাবেন। নাসিরনগর নেমে রিক্সা নিয়ে ডাক বাংলো যাবেন। সেখান থেকে নাসিরনগর-এর অপূর্ব সৌন্দর্যের প্রতীক মেদিনী হাওড় দেখতে ভাল লাগবে। সেখান ফিরে আবার সিএনজি করে চলে যাবেন হরিপুর এ জমিদার বাড়ীতে। সেখান থেকে মাধরপুর এ গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারেন। মাধরপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসে করে আসার সময় বাড়িউড়া বাজারে নেমে চলে যাবেন হাতিরপুল দেখতে। সেখান থেকে আবার বাসে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে আসবেন।
তারপর শহরটা ঘোরে দেখতে পারেন। একটা রিক্সা ভাড়া নিবেন ঘন্টা হিসেবে, ঘন্টা ৮০-১০০টাকা নিবে রিক্সাওয়ালাকে বলবেন মেড্ডা কালভৈরব, নিয়াজ পার্ক এ স্মুতি সৌধ আর কাউতলি সৌধ হীরন্ময় দেখাতে। ফেরার পথে মহাদেব পট্টি থেকে ঐতিহ্যবাহী, ছানামুখি খেয়ে আসতে ভুলবেন না।
রোড
দর্শনীয় স্থান-
Source:
রূপ গঞ্জ ও বালু নদীঃ
ঢাকা নতুন বাজার ১০০ ফিট রাস্তা হয়ে বেড়াইত এর পর নৌকা ভারা নিয়ে সারা দিন ঘুরতে পারেন বালু নদী এবং সেই সাথে রূপগঞ্জ জমিদার বাড়ি।
বালু নদী দিয়ে আরেকটা ট্রিপ করা যায় । এখান থেকে ইছাপুরা প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় নৌকা ছেরে যায় । আপনি চাইলে এইপথে ইছাপুরা হয়ে বসুন্ধরা ৩০০ ফিট দিয়ে কুরিল ফিরতে পারেন । বালু নদীর দুই ধারে সবুজ ধানখেত এবং জেলেদের মাছ ধরা নজর কাড়বে ।
চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক ইলিশ চত্বর,প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এলাকা মত্স্য জাদুঘর,চাঁদপুর ,সরকারী বোটানি কাল গার্ডেন,হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ(৬ষ্ঠ বৃহত্তম) মেঘনা-পদ্মার চর ইত্যাদি ।
খাবারঃ ইলিশ এবং ওয়ান মিনিট আইসক্রিম
শেরপুরঃ
মধুটিলা ইকোপার্কে:
যাতায়াতঃ ঢাকা > শেরপুর > নলিতাবাড়ি>নন্নী বাজার>মধুটিলা ইকো পার্ক।ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি নালিতাবাড়ী পর্যন্ত গেটলক সার্ভিস রয়েছে।অথবা শেরপুর ড্রিমল্যান্ড বাসে এসে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার পর্যন্ত লোকাল বাস সার্ভিস রয়েছে। নন্নী বাজার থেকে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ভাড়ায় পাওয়া যায় মধুটিলা ইকোপার্ক ।
মধুটিলা ইকোপার্কে একটা রেস্টহাউজ আছে নামঃ মহুয়া ,
কর্ণঝোড়া/ রাজার পাহাড়ঃ
বাবেলাকোনা: রাজার পাহাড় ঘেঁষা জনপদ বাবেলাকোনা। এখানে অসংখ্য উঁচু-নিচু টিলায় ঘেরা এক অন্যবদ্য গ্রাম। প্রাচীনকাল থেকে এখানে গড়ে ওঠেছে জনবসতি। ঝোপ-জঙ্গলে আবৃত্ত গ্রামটি কালের আবর্তে পরিবর্তিত। প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত সবার কাছে পরিচিত রাজার পাহাড় থেকে বাবেলাকোনা।বাবেলাকোনায় গারো, হাজং, কোচ অধ্যুষিত উপজাতিদের সংস্কৃতি ভিন্ন মাত্রায় বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনধারা। যেন প্রাকৃতিক বিরুপতা। এ যেন জঙ্গল আর জন্তু-জানোয়ারের নৈসর্গিক মিতালি। জনপদটির চলমান জীবন সংগ্রামের বিরল দৃশ্য। উপজাতিদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্রগুলোও যেন আলাদা আকর্ষণ। এসব হচ্ছে বাবেলাকেনা কালচারাল একাডেমি, ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন অফিস (টিডব্লিও), জাদুঘর, লাইব্রেরি, গবেষণা বিভাগ, মিলনায়তন এর অন্যতম নিদর্শন। এখান থেকে উপজাতিদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়। মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হচ্ছে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্ষাকালে ঢেউফা নদীর জোয়ারে কানায় কানায় ভরে উঠে। কিন্তু দিনের শেষে ভাটা পড়ে। শুকিয়ে যায় এ নদীর পানি। তবে খরস্রোতা এ নদীর পানির গতি কখনোই কমেনা। সারা বছরই হেঁটে পার হওয়া যায়। ক’বছর ধরে এ নদীর দু’পাশে দুটি ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় এখন আর নদীতে নামতে হয়না। এর বুক জুড়ে বিশাল বালুচর যা নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য শহরে নিয়ে যাচ্ছে। এ যেন রাজার পাহাড় থেকে বাবেলাকোনা কুল ঘেষাঁ বিকল্প সমুদ্র সৈকত।
বাবেলাকোনার উপজাতিদের কারুকার্য মন্ডিত ধর্মীয় গীর্জা, মন্দিরসহ অসংখ্য প্রাকৃতিক নিদর্শনের সমাহার। উপজাতিদের চালচলন, কথাবার্তা ও জীবনপ্রণালী দর্শনার্থীদের অাকৃষ্ট করে। তাদের সংস্কৃতিতে রয়েছে ভিন্নতা। ওদের জীবন যেন প্রবাহিত হয় ভিন্ন ধারায়। এখানে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন, বিট অফিস, বিজিবি ক্যাম্প এবং রাবার বাগান।
গজনী অবকাশ
শেরপুর থেকে আনুমানিক দূরত্ব = ৩০ কি:মি: বাসভাড়া= ৫০ টাকা। সিএনজি ভাড়া = ২৫০ টাকা। এখানে আসার জন্য সড়ক পথে যাতায়ত খুব সহজ। গজনী অবকাশ পর্যন্ত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মসৃণ পিচঢালা পথ। শেরপুর থেকে লোকাল বাস,টেম্পু, সিএনজি অথবা রিক্সায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়া যায়।
পাহাড়ের ঢালে, গায়ে অথবা পাহাড় চূড়ায় সারি সারি শাল, সেগুন, মহুয়া, গজারী, আকাশমনি, ইউকেলিপটাস, মিলজিয়ামসহ আরো নাম না জানা কত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুল ও ছায়াঢাকা বিন্যাস যেন বিশাল ক্যানভাসে সুনিপুণ শিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়। শিল্পীর এ আঁচড় খুব সহজেই প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যেতে পারে বলেই প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষ, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সবাই ছুটে আসেন শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী গারো পাহাড়ের মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে।
প্রবেশ ফি: গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ী প্রবেশের জন্য উপজেলা পরিষদ চেকপোষ্ট থেকে বাস-কোচ, ট্রাক-৩ শ টাকা। মাইক্রোবাস,পিকআপ, মেক্সি-১শ ৫০টাকা। জিপ,কার,টেম্পু-১শ টাকা এবং সিএনজি-৫০টাকা দিয়ে গেটপাস নিতে হবে। অন্যথায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ী ঢুকাতে পারবেন না। তাছাড়া সীমান্ত পথে বিজিবি নকশী ক্যাম্পে সে পাস দেখাতে হবে। আর অবকাশ কেন্দ্রে টাওয়ারের জন্য জনপ্রতি ৫ টাকা, শিশু পার্কের জন্য ১০টাক, প্যাডেল বোড ২০মিনিটে ৬০টাকা, পানসিতরী নৌকায় জনপ্রতি-১০টাকা এবং পাতালপুরি ড্রাগন ট্যানেলে জন প্রতি ৫টাকা প্রদর্শনী ফি রয়েছে।
লাউচাপড়াঃ
জামালপুরের ‘লাউচাপড়া’ অবসর বিনোদন কেন্দ্রের এই নৈসর্গিক ও ছায়াশীতল পরিবেশ দর্শনে বছরজুড়ে ভিড় করছেন দেশ-বিদেশের শত শত পর্যটক। জামালপুর জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের উপজেলা বকশিগঞ্জ। আর শেরপুর জেলা সদর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরের উপজেলা শ্রীবর্দী। অবসর বিনোদন কেন্দ্র লাউচাপড়ার অবস্থান বকশিগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি জনপদে হলেও শ্রীবর্দী উপজেলার কর্ণজোড়া বাজার থেকেও বেশি দূরে নয়। বকশিগঞ্জ থেকে ১৫ আর শ্রীবর্দী থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরের পর্যটন কেন্দ্র লাউচাপড়া। বকশিগঞ্জ ও শ্রীবর্দীর দু’টি পথ এক হয়ে মিলেছে চোখ জুড়ানো অপার সৌন্দর্যের আধার বলে খ্যাত লাউচাপড়ায়। এক সময় ঘন বন জঙ্গলের এসব পাহাড়-টিলায় শত প্রজাতির বন্যপ্রাণী থাকলেও এখন তা কমে গেছে। শূকর, বানর, বনমোরগ আর হাতির পাল ছাড়া এই বনে তেমন কোন প্রাণীর দেখা মেলে না এখন। তারপরও প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের ভিড়ে বছরজুড়ে উৎসবমুখর থাকছে ছায়াশীতল নৈসর্গিক লাউচাপড়া।
ঢাকাথেকে যাতায়াতঃ রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে শেরপুর । ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রোবাস অথবা প্রাইভেট কারে আপনি এখানে আসতে পারেন।সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা প্রায় ।
ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে সরাসরি শেরপুর ২০০/-
অথবা রিফাত পরিবহণে সরাসরি শ্রীবরদি বাজার, ভারা ৪৫০/-
অথবা ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি নালিতাবাড়ী পর্যন্ত গেটলক সার্ভিস রয়েছে। জনপ্রতি ভাড়া ২৫০/- টাকা। মহাখালী থেকে দুপুর ২টায় ছাড়ে এসিবাস। ভাড়া ৪৫০টাকা।
এছাড়া ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম ৪ নং গেইট থেকে সরাসরি বিকাল ৩-৪টায় শিল্প ও বণিক সমিতির গাড়ী ঝিনাইগাতীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ভাড়া ৩৫০টাকা ।
মজার খাবারঃ শেরপুরের সুখ্যাত মিষ্টি, স্পঞ্চ মিষ্টি, দানাগোল্লা, জিলাপী, রস মালাই জন্য ভবতার মিষ্টান্ন, চারু সুইটস, নন্দগোপালের সুইটস এগুলোর শহরের কালীর বাজারে অবস্থিত।