Review From Tasmia Islam

সমুদ্র অথবা দ্বীপ বরাবরের মতই সবার প্রিয়❤️
আমিও তাদের বাহিরে না।
সমুদ্রের উত্তাল গর্জন আর শীতল বাতাস সবার হৃদয়ই শিহরিত করে দেয় এক মুহুর্তে 🥰
নিজের ভেতরে অন্যরকম রোমাঞ্চ তৈরি হয়।
সমুদ্র আর নীল আকাশের অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায় এই সেন্টমার্টিন এ।
তাই তো শীত এলেই সেন্টমার্টিনে যাওয়ার
আগ্রহ বেড়ে যায় সবার।
আমাদের এই প্রথমবার সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ❤️
সেইটা ও আবার টিজিবির সাথে।
আমার দুই মেয়ে নিয়ে সেন্টমার্টিন যাবো,
কিন্তু সাহস ছিলো না
কারণ সেন্টমার্টিন একটা দ্বীপ 🏝️
এতো লম্বা পথ পাড়ি দেবো দুটো মেয়ে কে নিয়ে,
কোনো ভাবেই মন স্থির করতে পারছিলাম না,
ছোট মেয়ের বায়নাতেই সিদ্ধান্ত নেই যাবো।
যাওয়ার জন্য অনলাইনে টুরিস্ট গ্রুপ সার্চ শুরু করে দেই।
অনেক অনেক গ্রুপ ঘুরলাম,
টিজিবির সন্ধান পেলাম ❤️
সন্ধান তো পেলাম
কিন্তু দুই মেয়ে নিয়ে কতটা নিরাপদ এই টিজিবি??
অনলাইনের একটা গ্রুপ, যেখানে কাউকে চিনি না।
তাদের সাথে দুটো মেয়ে নিয়ে যাওয়া কি ঠিক হবে?
প্রায় সারাদিন টিজিবিতে ঘুরাঘুরি করলাম।
এডমিন লিষ্ট চেক করে ভাবছি কাকে নক দেবো,
অনেক টা সাহস নিয়ে Imranul Alam ভাইয়া কে নক দিলাম।
ভাইয়ার সাথে কথা বলে অনেক টা সাহস সঞ্চয় হলো।
এবং এইটাও মোটামুটি কনফার্ম হলাম
যে পরবর্তী সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আমরা থাকছি।
সব কিছু ঠিকঠাক করে ও যেনো
একটা ভয় থেকেই গেলো।
কেমন হবে টিজিবির সাথে আমার মেয়েদের নিয়ে যাত্রা??
কতটা নিরাপদ থাকবো আমরা??
এই প্রশ্ন গুলোর কোনো উত্তর জানা নেই,
২০ জানুয়ারি আমাদের যাত্রা শুরু আরামবাগ থেকে।
আমাদের হোস্ট ছিলেন শ্রদ্ধেয় শামীম ফেরদৌস কনক ভাইয়া ☺️
একটা মানুষ কতটা বিনয়ি আর অমায়িক হতে পারে
সেইটা কনক ভাইয়া কে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।
আমাদের টিম পুরো একটা ফ্যামিলি টিম ছিলো।
সবার সাথে রিসোর্ট এ গিয়ে পরিচয় হলো
কিন্তু একবারের জন্যও মনে হয়নি
আমরা একেক জন একেক জায়গার❤️
আজকের আগে কেউ কাউকে চিনতাম না ❤️
টিজিবির নিজেদের রিসোর্ট
নোনাজল বিচ রিসোর্ট এ আমরা উঠে ছিলাম,
এতো সুন্দর একটা ভিউ,
শুধু চোখ বন্ধ করে উপভোগ করার মতো।
সূর্যাস্ত দেখার জন্য কষ্ট করে বিচ এর পাড় যেতে হয়নি
রিসোর্ট এর মাচায় বসেই দেখা গেছে।
আর এতো সুন্দর ছিলো আশেপাশের পরিবেশ টা।
মেয়েদের নিয়ে যে ভয় টা ছিলো
সেইটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
সেফটি ছিলাম ১০০% তে ১০০০😍😍
এতোটা আন্তরিকতা ছিলো কনক ভাইয়ার,
ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়,
আমার থেকে বেশী সাথে যারা ছিলেন তাঁরা সবাই অনেক বেশী গার্ড করেছেন ওদের।
নিজের বোন,মেয়ে, ভাগ্নি করে নিয়েছেন।
পুরো সময় টা নিজের ঘরে থাকার মতো মনে হয়েছে,
রাত ১টা দেড় টা পর্যন্ত বিচ এ হাঁটাহাঁটি, মাচায় বসে থাকা, অনেক বড় একটা বিষয়,
কিন্তু আমরা নির্ভয়ে সেইটা করেছি,
আমরা মেয়েরা একা ট্যুরে যেতে ভয় পায়
আর এইটা স্বাভাবিক, কিন্তু টিজিবি আমার সেই ভয় কাটিয়ে দিছে,
আমাদের সাথে আগেও টিজিবির ট্যুর দেওয়া একটা কাপল ছিলো, তাদের কাছে ও অনেক ভালো রিভিউ পেলাম, টিজিবির নিরাপত্তার বিষয়ে,
এই বিষয় টা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
এই সব কিছু পেলাম টিজিবির জন্য
কি ছিলো না আমাদের এই ট্যুরে
হাসি আনন্দ, গান, বারবিকিউ,
গল্প,আড্ডা, 😍😍সবার বিষয়ে জানা
সব কিছু ছিলো ❤️টিজিবির বিষয়ে অনেক তথ্য জানা❤️
আর খাবার গুলো এতো মজার ছিলো কি বলবো।
সেন্টমার্টিন থেকে চলে আসছি
কিন্তু নিয়ে আসছি
অনেক অনেক স্মৃতি, অনেক বেশি ভালোবাসা।
আর পরবর্তী ট্যুর গুলো নির্ভয়ে দেওয়ার সাহস।
আমাদের পরবর্তী ট্যুর টিজিবির সাথে সুন্দরবন হবে ইনশাআল্লাহ ❤️
এখন আমি চোখ বন্ধ করে মেয়েদের নিয়ে যেতে পারি,
স্পেশাল ভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই
ইমরানুল ভাইয়া কে
যাকে আমি চিনিই না
কিন্তু উনার কথা এবং টিজিবির উপর ভরসা করে এতো এতো
ভালোবাসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
তারপর আছেন কনক ভাইয়া
যে কি না ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন,
সেন্টমার্টিন থেকে ঢাকা এই পুরো সময় টা আমাদের কে একটা ফ্রেমে বেঁধে রেখেছিলেন।
অনেক অনেক টা সতর্কতার সাথে আমাদের কে নিয়ে যাওয়া আসা করেছেন।
অনেক কথা লিখতে ইচ্ছে করছে
কিন্তু বলে শেষ হবে না কখনো,
আমি ভালো লিখতে ও পাড়ি না।
শুধু বলবো টিজিবিয়ান এগিয়ে যাও
তোমাদের লক্ষ্যে 🤲


Tasmia Islam
Traveller
26-May-2022