Review From Tanim Chowdhury


কির্সতং-এর কিস্সা আর রুংরাং-এর ভুংভাং

প্রায় ১ বছর পরে, আবার বান্দরবানে- আবার ট্রেকিং-এ ফেরা।

ডে-১: ঢাকা- আলীকদম- ২১ কিলো- খেমচং পাড়া (ট্রেকিং: ৬-৭ ঘন্টা, নাইট স্টে)।

ডে-২: খেমচং পাড়া- কির্সতং সামিট (৪-৫ ঘন্টা ট্রেকিং, যাওয়া-আসা)- খেমচং পাড়া- রুংরাং সামিট (২-৩ ঘন্টা ট্রেকিং)- মেনিয়াং পাড়া (নাইট স্টে)।

ডে-৩: মেনিয়াং পাড়া- মেনকিউ পাড়া (৪-৫ ঘন্টা ট্রেকিং)- ১৩ কিলো (মেনকিউ পাড়ার পাশের কচ্ছপ ঝিরি ধরে ৪ ঘন্টা ট্রেকিং, পথে আরও কয়েকটি ছোট ছোট পাড়া)- আলীকদম- ঢাকা।

কির্সতং-রুংরাং পরিচিতি: কির্সতং আর রুংরাং হচ্ছে চিম্বুক রেঞ্জের সবচেয়ে উঁচু চূড়া। দুইটি চূড়াই কাছাকাছি অবস্থিত। তাদের মাঝের ভ্যালিতে খেমচং পাড়াকে সাধারণত দুইটির-ই বেসক্যাম্প হিসেবে ধরা হয়। 

মারমা ভাষায় কির্স হচ্ছে এক ধরণের ছোট পাখি, আর তং অর্থ পাহাড়। অর্থাৎ, সেই বিশেষ ধরণের ছোট পাখির নামানুসারেই পাহাড়টির নামকরণ হয়েছে। অন্যদিকে, রুংরাং হচ্ছে ধনেশ পাখি বা Hornbill। বলা হয়ে থাকে, এই পাহাড়ের জঙ্গলে নাকি শত শত ধনেশ পাখি দেখা যেত। নির্বিচারে গাছ কাটার জন্য জঙ্গল যাও-বা আছে, ধনেশ পাখি আর নাই বললেই চলে। যদিও, ২টা পাহাড়েই সারাক্ষণ পাখির কিচির মিচির শুনতে পাওয়া যায়। 

গত বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি-র দিকে যোগী হাফং সামিট করার পরে আসলেই আর সময় পাই নাই মাঝে। স্বাভাবিকভাবেই ফিটনেসের অবস্থাও ছিলো শোচনীয়।

প্রায় মাসখানেক ধরে রেগুলার ইভিনিং রানিং করে ওজন অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে আনার পর মনে হতে থাকে- এবার বোধহয় কোথাও যাওয়া যায়। সত্যি বলতে, আমার ইচ্ছা ছিলো জোতলাং, যেহেতু গতবছর সেটা সামিট না করেই চলে আসতে হয়েছিলো। মার্চের এই ছুটিতে জোতলাং-এর ট্রিপ না থাকায় চোখ বন্ধ করে ক্রিসতং-রুংরাং ট্রিপের বুকিং দিয়ে দিই। যেহেতু আলীকদম-এর দিকে আমার আগে কখনো যাওয়া হয়নি, তাই ডিসিশন মেকিং-টাও ছিলো খুব ইজি।

প্রথম দিন:

যাই হোক, নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে বাসে উঠলাম। মোটামুটি কোন প্যারা ছাড়াই আলীকদম চলে আসি আমাদের টিমের ১২ জন। নাস্তার পর ২ জন আলাদা হয়ে থানচি চলে যায়, আমরা চলে আসি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাস্তা আলীকদম-থানচি সড়কের ২১ কিলো নামক একটা জায়গায়। ঘড়িতে তখন সকাল ৮টা। শুরু হয় আমাদের ট্রেকিং।

কির্সতং-রুংরাং ট্রেকিং-এর সবচেয়ে বড় আর বাজে বৈশিষ্ট্য- পানির স্বল্পতা আর কড়া রোদ। গাছ কাটার জন্য এই এলাকার ঝিরি-ঝর্ণা যা ছিলো, প্রায় মরেই গিয়েছে বলা যায়। তাই খেমচং পাড়া যাবার পুরোটা পথের জন্য প্রায় ৩-৪ লিটার করে যার যার পানি নিজেদেরই নিয়ে যেতে হয়। ৩-৪ লিটার শুনে অনেক বেশি মনে হতে পারে। কিন্তু দুপুরের কড়া রোদ আর গাছ না থাকায় ছায়ার অভাবে যেভাবে শরীর থেকে পানি বের হয়- ৩-৪ লিটার-এর কম হলে আসলেই বিপদে পড়তে হবে। তাছাড়া, জামাকাপড় যাই নেয়া হোক, এই ৩-৪ লিটার পানি, অর্থাৎ ৩-৪ কেজি অতিরিক্ত ওজন বহন করে পাহাড় বেয়ে উঠানামা করা সত্যিই অনেক কষ্টকর। তবুও, ব্যক্তিগতভাবে ট্রেকিং-টা আমার জন্য তেমন কঠিন মনে হয় নাই, যদি পর্যাপ্ত প্রিপারেশন আর ধৈর্য্য থাকে। এমনিতেও দুপুরের কড়া রোদ মাথায় নিলে একটু স্লো হয়েই যাওয়া হয়, তাই টেনশন-মুক্ত থাকার চেষ্টা করি। সত্যি বলতে, খুব বেশি খাড়া যে ১০-১২টা পাহাড় আছে, সেগুলো উঠার পরপর একটু ছায়াতে গিয়ে ব্যাগ/গামছা বিছিয়ে ১৫-২০ মিনিটের একেকটা ঘুম বেশ ভালোই এনজয় করছিলাম। আগের রাতের বাস জার্নির জন্য ঘুমগুলি সত্যিই খুব ইফেকটিভ ছিলো। এরকম ঘুমাতে ঘুমাতেই, সন্ধ্যার একটু আগে পৌঁছাই খেমচং পাড়া।

পাড়ায় ঢুকেই হতাশ। খেমচং পাড়ায় পানির ভয়াবহ সংকট। তাই গোসল করার কোন উপায় নেই। এই পাড়ার ১২-১৫টি পরিবার খাবার পানিই নিয়ে আসে অনেকদূরের মৃতপ্রায় একটা ঝিরি থেকে। ঝিরিটা শুকিয়ে গেলে, এদেরও এখানে আর থাকা হবে না। কি আর করার- তাই শুধু গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছেই প্রথম রাতটা কাটাতে হয়। তবে প্রথম রাতটা খুব একটা খারাপও ছিলো না, যার পুরো ক্রেডিট আমাদের গাইড স্বপনদার দুর্দান্ত রান্না। পাহাড়ি জুমের চাল, অতিরিক্ত মশলা দেয়া পাহাড়ি মোরগের মাংস- সেই জোস। 

সারাদিনের ট্রেকিং-এ সবাই ছিলাম ক্লান্ত। তাই খাবারের পরে আর বেশি রাত কেউই জাগলাম না। প্রায় ১২টা নাগাদ ঘুমাতে চলে যাই। চোখে স্বপ্ন- পরের দিনের কির্সতং-রুংরাং সামিট। 

দ্বিতীয় দিন:

আগের রাতে ডিনারের সময় সবাই ভোর ৫:৩০টার মধ্যে উঠে, ৭টার সময় ট্রেকিং শুরু করার ব্যাপারে এতটাই ডিটারমাইন্ড ছিলাম- যে সবার ঘুম ভাঙতে ভাঙতেই ৭:৩০ (আমি উঠসি ৬:৩০টায়, খোদার কসম)। এরপর জুমের চালের ভাত আর পাহাড়ি মোরগের মাংস খেয়ে ট্রেকিং শুরু হয় সকাল ৮টার দিকে। প্রথম গন্তব্য- কির্সতং চূড়া সামিট।

এদিনও, আমাদের পুরো পথের জন্য পানি নিয়ে যেতে হয়। সেই কড়া রোদ আর খাড়া পাহাড়। তবে ঘন্টা দুয়েক যাবার পরপরই কির্সতং-এর জঙ্গল শুরু হয়। রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচা গেলেও, পানির পিপাসার জন্য মাঝে মাঝেই থামতে হচ্ছিলো। এখানে বলে রাখি, এ ধরণের ট্রেকিং-এ হাফ লিটার ওরস্যালাইন মেশানো পানি সত্যিই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচার জন্যও জিনিসটা কার্যকরী।

যাই হোক, এর মধ্যেই গাইডকে পেছনে ফেলে পাকনামি করে এগিয়ে যেতে গিয়ে পথ ভুল করি। গিয়ে পড়লাম, জুমের জন্য পুড়িয়ে দেয়া একদম খাড়া আর ন্যাড়া একটা পাহাড়ে। হুদাই একটা একস্ট্রা পাহাড় সামিট করলাম, এই করতে যেয়ে। যদিও পরে মনে হয়, ট্রেকিং-এ গিয়ে পথ ভুল না করলে, কিসের আর ট্রেকিং করলাম। তাও, এই বোকামি করাটা স্মার্ট মুভ না একদমই।

এভাবেই, আস্তে-ধীরে হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে কির্সতং-এর চূড়ায় গিয়ে পৌঁছুলাম। টিমের অন্যদের তুলনায় বেশ আগেই পৌঁছানোর জন্য ফটোসেশন করার যথেষ্ট টাইম ছিলো। যদিও আমি বেশি ছবি না তুলে আবারও গামছা আর ব্যাগ বিছিয়ে নিয়ে ৪৫ মিনিটের একটু ঘুম দিলাম। ঢাকায় তো কাজের চাপ আর শব্দ দূষণের জন্য ঠিক মতো ঘুমাইতে পারি না, তাই পাহাড়ের সুনসান পরিবেশ পেয়ে চান্স-টা আর ছাড়ি নাই।

একে একে অন্যরা আসার পরে আমরা যারা আগে পৌঁছেছি তারা খেমচং পাড়ার ফিরতি পথ ধরলাম। ধীরে-সুস্থ্যে খেমচং পাড়া আসতে আসতে দুপুর ২টা। এবারও, গাইড স্বপনদার রান্না করা গরম গরম জুমের ভাত, ডাল, পাহাড়ি মোরগের মাংস- সাথে স্পেশাল আইটেম, গরম গরম নুডলস দিয়ে লাঞ্চ করে আরেকটা শর্ট ঘুম। এখানে বলে রাখি, ট্রেকিং-এর সময় ডাল দিয়ে নুডলস খাওয়া- সেই টেস্ট।

টিমের অন্য সবার ফেরত আসতে আসতে আরও ঘন্টা দেড়েক লেগে যায়। তাই আমাদের একটু তাড়াহুড়ো করেই, ৪:৩০ নাগাদ রুংরাং সামিটে বের হতে হয়। উল্লেখ্য, খেমচং পাড়ার অবস্থান, কির্সতং আর রুংরাং-এর মাঝের ভ্যালিতে হওয়ায় এক যাত্রায় দুইটি পাহাড় সামিট সম্ভব না। কির্সতং একটু দূরে হওয়া সকালে সেটা শেষ করে, পাড়ায় ব্যাক করে রুংরাং সামিট করে পরবর্তী রাতের গন্তব্য মেনিয়াং পাড়ায় সবাই চলে যায়। প্ল্যান-মাফিক হলে বিকাল ৬টার মধ্যেই মেনিয়াং পাড়ায় চলে যাওয়া যায়। মেনিয়াং পাড়া খুবই ছোট, মাত্র ৮-১০টা পরিবার থাকে। তাই টুরিস্ট অনেক বেশি হয়ে গেলে সেখানে গিয়ে থাকার জায়গা পাবার একটা সংকট দেখা দেয়। আমাদের মাথায় এই দুশ্চিন্তাটা ছিলো। তাই ৪:৩০-এ রুংরাং সামিটের জন্য রওনা হওয়া বেশ রিস্ক-ই ছিলো।

যাই হোক, তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে আমরা রুংরাং-এর দিকে আগাই। পথটা ছোট হলেও, পরিশ্রমটা কিন্তু কম না। বিশেষ করে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসাই আমি নিজে একটু ভয়েই পড়ে যাই। আমার যেহেতু চোখের পাওয়ার বেশি, রাতে ট্রেকিং করতে সবসময়ই আমি প্যাড়া খাই। এর আগে তাজিনডং যাবার পথে আর যোগী হাফং সামিট শেষে ফিরে আসার পথে রাতের অন্ধকারে যেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিলো, সেটায় পড়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার ছিলো না। তাই পা চালিয়ে আমি একটু স্বার্থপরের মতোই এগিয়ে যাই। চূড়ার কিছুটা নিচে বড় ব্যাগ রেখে দিয়ে, ছোট ব্যাগে টর্চ-সহ কিছু দরকারি জিনিস নিয়ে সামিটের যাত্রা শুরু করি।

রুংরাং সামিটের শেষ ২০ মিনিটের পথটা অন্ধকার না হলে সত্যিই উপভোগ করতাম। জায়গাটা যেরকম খাড়া আর বাঁশঝাড়ে ঘেরা, আমার কাছে কিছুটা যোগী হাফং-এর মতো লেগেছে। তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে চূড়ায় যখন পৌঁছুই, তখন সন্ধ্যার একদম শেষ সময়। তাই বেশিক্ষণ না থেকে, কিছু ছবি তুলেই ফিরতি পথ ধরতে হয়। ভাগ্য ভালো, এরই মধ্যে অন্ধকারটা চোখে সয়ে যাওয়ায় টর্চ ছাড়াই সহি-সালামতে ফিরে আসি আগের জায়গায়। এরপর কিছুক্ষণ আড্ডা-গান শেষে, টর্চ জ্বালিয়ে মেনকিউ পাড়ায় চলে আসা। ঘড়ির কাটায় তখন ৭:৩০টা কি ৮টা।

মেনকিউ পাড়ায় ঢুকতেই সুখবর! এ পাড়ায় পানির ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো, অর্থাৎ গোসল করা যাবে। শুধু কি তাই! পাড়ায় আমাদের মতোই আরেক ট্যুরিস্ট গ্রুপ আসছে। দুই গ্রুপ মিলে একটা ছাগল জবাই দেওয়ার প্ল্যান হলো, পার হেড মাত্র ২০০ টাকা করে দিতে হবে। এই চান্স কি আর মিস করা যায়?

ছাগল জবাই শেষে, গোসল করে এসে আড্ডার শুরু। এরই মধ্যে পাড়ায় যার বাসায় ছিলাম, তার ইনহাউজ দোকান থেকে মুড়ি-চানাচুর কিনে সেই মাখানি হয়ে গেলো। আর গাইড স্বপনদাও এরই মধ্যে এক্সট্রা স্পাইসি মাউন্টেন মোরগ আর গোট কারি এবং জুম স্পেশাল স্টিমড রাইস প্রিপেয়ার করে ফেললেন। খাওয়ার টাইম কারোই কোন কথা নাই, খালি সাউন্ড। এরপরে, একটু গড়াগড়ি দিতে দিতে, সবাই স্বপ্নের দেশে।

তৃতীয় দিন: 

তৃতীয় দিনটা শুধুই ফেরার। সকালে উঠে হেলেদুলে খাবার খেয়ে, ব্যাগ গুছিয়ে রেডি হয়ে মেনিয়াং পাড়া থেকে ফিরতি পথ ধরতে ধরতে ৯:০০টা বেজে যায়। সবার মনেই তখন বাড়ি ফেরার ধান্দা। এদিনের স্পেশাল বলতে ছিলো- মেনিয়াং পাড়া থেকে মেনকিউ পাড়া যাবার পথে, এবং পরের পুরো অংশে কচ্ছপ ঝিরির পাশ দিয়ে ট্রেকিং। মাঝে মাঝে রেস্ট-এর জন্য থামা, খেজুর-বাদাম খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প- এই তো।

দেখতে দেখতে ঝিরির একদম শেষ মাথায় একটা অংশে সবাই মিলে গোসল করা। এরপর পাশের পাহাড় বেয়েই আলীকদম-থানচি সড়কের ১৩ কিলো নামক স্থানে চলে আসতে আসতে বিকাল ০৪:৩০টা। এরপর যথারীতি, চান্দের গাড়িতে আলীকদম। আলীকদমের পানবাজারে ভরপেট ভাত খেয়ে, সন্ধ্যা ৭টার বাসে ঢাকা।

কির্সতং-রুংরাং ট্রেকিং-টা খুব কঠিন না হলেও, একেবারেই যে সহজ, তাও কিন্তু না। এই ট্রেকিং-এর মেইন পয়েন্ট-টা হচ্ছে গরম থেকে নিজেকে রক্ষা করা আর পর্যাপ্ত পানি নিয়ে ট্রেকিং করা। হাতে করে ২ লিটারের পানির বোতল নিয়ে পাহাড় উঠানামা করা বেশ ঝামেলার আর কখনো কখনো বেশ বিরক্তিকর। কিন্তু এছাড়া উপায়ও নেই। তাই এই ব্যাপারটার এড়িয়ে যাওয়াটা হবে বোকামি।

কির্সতং-রুংরাং ট্রেকিং-এর যে বৈশিষ্ট্যের কথা না বললে অপূর্ণ থেকে যাবে, সেটি হচ্ছে খেমচং পাড়া আর মেনিয়াং পাড়ায় ত্যাগের অতুলনীয় অভিজ্ঞতা। পাহাড়ের পাদদেশে, ওপেন এয়ার হাগনকুঠি, আর তার নিচে অপেক্ষমাণ ভদ্রলোকদের লোভাতুর চাহনি- আহা! এই অভিজ্ঞতা ভাষায়ও প্রকাশ করা যাবে না, লিখেও বুঝানো যাবে না। এরপরও যদি কারও আগ্রহ থেকে থাকে, নিজ দায়িত্বে জেনে নিবেন। সেটা অভিজ্ঞতা নিয়ে হলে আরও চমৎকার।  

আজকে এই পর্যন্তই থাকুক। এবারের ট্রেকিং-এ মনে হয় আমি অন্যান্যবারের তুলনায় একটু বেশি ছবি তুলেছি। দিয়ে রাখলাম সেগুলো। প্রায় সবগুলোই এডিট-ছাড়া। কয়েকটি ছবি শুধু ফিল্টার ব্যবহার করে নেয়। এডিট করার টাইম নাই, তাই ক্ষমাপ্রার্থী। 

করার টাইম নাই, তাই ক্ষমাপ্রার্থী। 

সবশেষে ধন্যবাদ, Tour Group BD - TGB কে। ওনাদের কিভাবে ধন্যবাদ দিবো আমার জানা নাই। শুধু এইটুক বলতে চাই- আমি চোখ বন্ধ করে ওদের সাথে যেকোন জায়গায় ট্যুরে চলে যেতে পারি। বিশেষ করে Abu Naser Mamun ভাই, Hasnat Kiron ভাই অথবা কলেজ জীবনের বন্ধু Rakib Apo থাকলে তো কথাই নাই।

ইনশাআল্লাহ- আবার গল্প হবে, অন্য কোন ট্রেকিং-এর।



Tanim Chowdhury
Traveller
30-Apr-2022