"সিক্কিম" মানেই একটা অচেনা এডভেঞ্চার
"সিক্কিম" এই নামটা শুনলেই একটা অচেনা এডভেঞ্চার মনের ভিতরে শিহরণ দিয়ে উঠে। টিবাতিয়ান কালচার আমার আগে থেকেই অনেক ভালো লাগে। তাই সিক্কিমের প্রতি আলাদা একটা অনুভুতি কাজ করে যেমনটা জ্যাকি চ্যানের মুভি দেখলে হই । যাই হক গল্প শুরু করা যাক। আমি যখন সিক্কিমের নাম প্রথমে শুনি বা তার সর্ম্পকে জানি তখন বাংলাদেশিদের জন্য এটা অপেন ছিলো না কিন্তু আল্লাহর রহমতে এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। যখন ওপেন করা হয় তখন থেকে যাওয়া প্রবল ইচ্ছা ছিলো কিন্তু আমাদের মত ছেলেদের কাছে এটা সাত সামুদ্র পাড়ে দেওয়ার মত। একে ত ট্যাকা আরেকটা বাসায় প্যারা যাই হোক ইচ্ছা থাকলে আল্লাহ পথ দেখিয়ে দেয়। সৌভাগ্য ক্রমে আমি একটা ট্যাভেল এজেন্সিতে জব করি 'ট্যুর গ্রুপ বিডি' যাদের বর্তমানে প্রতি মাসেই একটা করে সিক্কিম ট্রিপ রয়েছে। জবের সুবাদে আমি এই পর্যন্ত তিন বার সিক্কিম যাওয়া হয়েছে এই তিন বার আমার ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে এই গল্পে আমি এগুলো এত বিস্তারিত বলব না বেশি বড় লিখা আমার নিজের ই পড়তে ভালো লাগেনা একটু মিলিয়ে গল্প করব যেন আপনাদের যাওয়া ইচ্ছা আরো প্রবল হয় বা একটু হলেও ধরনা পান। আসলে সিক্কিম বর্তমানে সবার সিক্কিম যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য বরফ দেখার জন্য কম কষ্টের সহজেই অল্প খরচে বরফের মধ্যে গড়াগড়ি করা ।
বাসে যাত্রা শুরু হয়ে ঢাকা থেকে বুড়িমারী উদ্দেশ্য (চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার)। এর পরে সকালে থাক এত গতানুগতিক গল্প লিখতেই কেমন কেমন লাগে। মেইন গপ্পে যাই।
দার্জেলিং প্রথম রাত, দার্জেলিং এর স্বপ্ন ত সিক্কিমে যাওয়ার ইচ্ছার থেকেও আগের ইন্তু সিক্কিম এটাকে একটু পানসে করে দিয়েছে তাও এক ডিলে দুই পাখি মারতে ভালোই লাগে। দার্জিল সন্ধ্যায় গিয়ে প্রথমে চলে গেলাম মল রোড়ে যা আসলে প্রধান আকর্ষনের জায়গা এখানে সকল কিছু পাওয়া যাই স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে লোকাল সকল ধরনের দোকান সাথে বার্ফি মুভি দেখার পর থেকে কেভেন্টাস রেস্টুরেন্টে যাওয়া ইচ্ছা টাও পূরণ করে ফেলাম। রাত ৮টা থেকে সকল দোকান বন্ধ হতে শুরুকরে ফলে বেশি কিছু আর করতে পারিনি হালাকা ট্রিট ফুড নুডুলস, কেভেন্টাস এর কফি সাথে যলদি যলদি একটা অতি পুরাতন চায়ের দোকান থেকে সেরা কিছু চায়ের প্যাকেট নিয়ে ফেলাম দার্জেলিং এসে চা না কিনলো দাদা পাপ হবে স্থানীয়দের কথা। রাতে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা খেলা কিন্তু পুরা দার্জিলিং দেখে বোঝায় যাইনা এ এখান ফুটবল থেকে চলছে শুরু ডেকোরেশনের জন্য মোলরড়ে পতাকা আছে। এখানে সবাই রাত ১০টার মধ্যে ঘুম খেলা ১০ টার পরে একটা রুম হিটার নিয়ে দেখা দেখতে বসে পড়লাম কিন্তু এখানে ডিসের চ্যালেন খুজে বাহির করা একটা দক্ষতার বিষয় দাদা অনেক কষ্টে পাইলাম। ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ এর মধ্যে ব্রাজিলের হারে একটা জড়ে চিচিৎকার দেওয়াতে রুম বয় হাজির কি না কি হয়েছে তারা খেলা নিয়ে এত কিছু করেনা। ছোট একটা হুমকি দিয়ে গেলো আর যেনা হয় যাইহোক রাতে আরেকটা ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয় দেখে ঘুম দিতে না দিতেয় আবার রেড়ি হয়ে ভোর ৩.৩০ এ বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনের জন্য। অধরি আগ্রহী হয়ে বসে থাকার করে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা পেলাম এ এক অবর্ননীয় রূপ আর অভিজ্ঞতা যা প্রকাশ করা সম্ভব না অপুরূপ সুন্দর। তারপরে বাকি সকল স্থানে যতবার যাই কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন অনবরত চোকে পড়তে থাকে এই সময় আবহাওয়া অনেক পরিষ্কার থেকে সব প্রায় সব জাইগাতেই দেখতে পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ। বাতাসিয়া লুপ, টয়ট্রেন স্টেশন, লামাহাটা এগুলো দেখার পরে যাত্রা শরু করলাম সেই সিক্কিমের রাজধানী গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে।
কথায় আছে ভগ্য সাথে থাকলে একের পর এক চলে আসে আপনার কাছে, ঠিক এমনি হলো যখন রাস্তার এক পাশে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে রাফটিং এর দেখা পাইলাম। রাফটিং হলো ক্ষরস্রতা নদী বা পাহাড়ি নদীর ভয়াল স্রতের সাথে নৌকা চালানো। এটা করার অবেশেষে সৌভাগ্য হলো যা ছিলো এক কথায় সেরা এডভেঞ্চার এই ট্রিপের। রাতে চলে আসলাম গ্যাংটক। এরপর গ্যাংটকেও মোল রোড় রয়েছে আমাদের হোটেল মোল রোড়ের সাথে লাগানো তাই হোটেলে গিয়ের বের হয়ে মোল রোড় ঘুরলাম এখানেও সেম ৮টায় সব বন্ধ করা শুরু তাও কিছুই দেখতে পেলাম না।
এর পরে যাত্রা শুর সকাল সকাল লাচুং যাওয়ার উদ্দেশ্য....
আজকে এই পর্যন্ত জীবনে প্রথম এত কিছু লিখলাম হাপাই গেছি জানিনা কি লিখতে গিয়ে কি লিখেছি
#সিক্কিম #sikkimtrip #সিক্কিমট্রিপ