সে কালের হাওর আর এ কালের হাওর

সে-কালে হাওর ছিলো একেবারে প্রাকৃতিক, অকৃত্রিম!
ছোট ছোট বোট ছিলো, হামাগুড়ি দিয়েই বোটে ঢোকা হতো। টয়লেট ছিলো ক্রিস্টাল ক্লিয়ার!
মানে হচ্ছে পেছন দিকে ছোট একটা থ্রি কোয়ার্টার সাইজের ছাদখোলা টয়লেট, নিচে একটা গর্ত, ক্রিস্টাল পানি দেখা যেতো টয়লেটে বসেই।
বাজারে গিয়ে দামাদামি করে বোট নিতাম, তারপর ডেকোরেটর থেকে হাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন নিয়ে চুলা আর গ্যাস নিতাম অন্য কোথাও থেকে।
বেশিরভাগ সময় কাটতো ছাদেই। সামিয়ানা টানিয়ে ট্যুর চলতো জম্পেশ।
সময়ের প্রয়োজনে তরুণদের হাত ধরে এ-কালে হাওরে এসেছে বৈচিত্র্যতা। নৌকাগুলো সেজেছে সুনিপুণ সাজে। নৌকার ভেতরেই এখন এটাচ টয়লেট সহ রুম আছে। রয়েছে লবি, বিদ্যুৎ সুবিধা।
ছাদে রয়েছে ফুলের বাগান! আহা, কি মুগ্ধতা....
এমনিতেই হাওরের টলটলে পানি মানুষের মনে দোলা দেয়, তার উপর আরামদায়ক নৌকাগুলো মানুষের ভ্রমণকে করেছে সহজতর, করেছে নিরাপদ, করেছে বাঁধভাঙা!
যদিও শীতেও হাওর অঞ্চল সুন্দর, কিন্তু ভরা বর্ষার হাওরই এদেশে সকলের মন কেড়ে নিয়েছে তার বৈচিত্রতা দিয়ে।
হাওর আপনাকে অন্য সকল যায়গার ভ্রমণ থেকে বৈচিত্র্যময় সময় উপহার দিবে, এটা আমার বিশ্বাস।
হাওরে গিয়েছেন?
কেমন লেগেছে??